মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস   উদযাপন                                                                            

 শাহজালাল উপশহর বালিকা বিদ্যালয়,  সিলেট।

মৌসুমী দেব সহকারী শিক্ষিকার সঞ্চালনায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, কোরআন তেলায়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে শুরু হয়। কোরআন তেলায়াত করেন  নুজহাত তাবাসসুম ৯ম শ্রেণি, গীতা পাঠ করেন প্রেরণা দাস প্রাচি, ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বক্তৃতা ও কবিতা আবৃত্তি করেন তাহমিনা ত্বাহা, ফারহানা আক্তার পলি, সারা, শিক্ষকদের পক্ষ থেকে তাৎপর্যপূর্ণ ভাষণ দেন জনাব আব্দুর রব সহাকারী শিক্ষক, জনাব শরিফুল ইসলাম তালুকদার সহাকারী শিক্ষক, জনাব মহামুদা জাহান চৌধুরী, সহকারী প্রধান শিক্ষক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত  ছিলেন, জনাব শেখ মোঃ নজরুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক বাংলা বিভাগ, মুরারিচাঁক কলেজ, সিলেট। প্রধান অতিথি মহান স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে বলেন, মুক্তি যুদ্ধ না হলে বাংলাদেশ হতো না। স্বাধীন বাংলাদেশের বীজ বপন করা হয়েছিল  ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে। এক্ষেত্রে কয়েকটি  সাল তিনি উল্লেখ করেন। ১৯৫২ ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন,  ১৯৬৬ সালের ৬ দফা,  ১৯৬৮ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ১৯৬৯ গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের জাতীয় পরিষদ নির্বাচন, ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ হতে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে এসেছিল ১৬ই ডিসেম্বর। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধ হয়েছে উল্লেখ করে কয়েকটি কবিতার চরণ আবৃত্তি করেন।  

 

মাহবুব-উল-আলম চৌধুররী

“এখানে যারা প্রাণ দিয়েছে
রমনার উর্ধ্বমুখী কৃষ্ণচূড়ার তলায়
যেখানে আগুনের ফুলকির মতো
এখানে ওখানে জ্বলছে অসংখ্য রক্তের ছাপ
সেখানে আমি কাঁদতে আসিনি।
আজ আমি শোকে বিহ্বল নই
আজ আমি ক্রোধে উন্মত্ত নই
আজ আমি প্রতিজ্ঞায় অবিচল।“

 

আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ

‘কোন এক মাকে’

“মাগো, ওরা বলে
সবার কথা কেড়ে নেবে।
তোমার কোলে শুয়ে
গল্প শুনতে দেবে না।
বলো, মা,
তাই কি হয়?
তাইতো আমার দেরি হচ্ছে।
তোমার জন্যে
কথার ঝুরি নিয়ে
তবেই না বাড়ি ফিরবো।

লহ্মী মা,
রাগ ক’রো না,
মাত্রতো আর ক’টা দিন।”

 

শামসুর রাহমান:  ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’

একুশের কৃষ্ণচূড়া আমাদের চেতনারই রং।

এ-রঙের বিপরীত আছে অন্য রং,

যে-রং লাগে না ভালো চোখে, যে-রং সন্ত্রাস আনে

প্রাত্যহিকতায় আমাদের মনে সকাল-সন্ধ্যায়-

এখন সে রঙে ছেয়ে গেছে পথ-ঘাট, সারা দেশ

ঘাতকের অশুভ আস্তানা।

আমি আর আমার মতোই বহু লোক

রাত্রি- দিন ভূলুণ্ঠিত ঘাতকের আস্তানায়, কেউ মরা, আধমরা কেউ,

কেউ বা ভীষণ জেদি, দারুণ বিপ্লবে ফেটে পড়া।

চতুর্দিকে মানবিক বাগান, কমলবন হচ্ছে তছনছ।

বুঝি তাই উনিশশো উনসত্তরেও

আবার সালাম নামে রাজপথে, শূন্যে তোলে ফ্ল্যাগ,

বরকত বুক পাতে ঘাতকের থাবার সম্মুখে।

সালামের চোখে আজ আলোচিত ঢাকা,

সালামের মুখে আজ তরুণ শ্যামল পূর্ববাংলা।

 

মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি ক্ষণ ছিল মুক্তিযুদ্ধাদের আতঙ্কের ও ভয়ের। বাংলার আপামর জনগণ উদবুদ্ধ হয়েছিল প্রচন্ড আত্মবিশ্বাও ও গভীর দেশপ্রেমের তেচনায়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ছিল মিথ্যার বিরুদ্ধে শ্বাশত সত্যের এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের সংগ্রাম। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের গৌরবের ইতিহাস।

সভাপতিত্ব করেন জনাব আতাউর রহমান প্রধান শিক্ষক, শাহজালাল উপশহর  বালিকা বিদ্যালয়, সিলেট। সভাপতির ভাষণের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি হয়।   

 

 




 

 


Theme images by Storman. Powered by Blogger.