পানকৌড়ির ক্যানভাস
পানকৌড়ির ক্যানভাস
একদা অভিযাত্রিক দল গিয়েছিল অমরাবতী
সেখানে কাজল দিঘীর জলে পদ্ম ও পানকৌড়ি হয়েছিল সাথী।
নক্ষত্রেরা দিঘীর জলে নাইতে নামে
বিদ্যায়তনের যাত্রীরা স্বপ্নের জাল বুনে।
ম্যানুয়াল যুগে দিঘীর পাড়ে ছিল চৌচালা দুইখান কুটুরী
নীল জলে সিক্ত হতো নীলাম্বরী।
বাসন্তীরা মেঘের সাথে খেলা করে ভেসে বেড়ায়
স্বপ্নেরা শকুনের সাথে উড়ে যায়।
বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে আলো জ্বালাতে এসেছিল সুদীপ
ইটের পরে ইট মৌটুসীর সাথীরা হারালো জীবন প্রদীপ।
২ টাকার সিংগারা সমুছা খেয়ে জারুল তলায় স্লোগান দিত তেজোদীপ্ত বালক
স্বৈরাচারের পালা কুকুরের জন্য হয়েছিল সে পলাতক।
আনমনা ছেলেটি টেনিস খেলে পার করে দিত দ্বিপ্রহর
কাক ও চমচিকার ফন্দি ফিকিরে করতে পারল না দেশে টাহর।
দর্শনের ফেরিওয়ালা সাদা পাঞ্জাবি পড়ে শুভ্র করত সবুজ ক্যাম্পাস
আশার বুকে হতাশা নিয়ে আলেয়া গলে দিল ফাঁস।
আজ সেই দিঘীর পাড়ে ইট ও কংক্রিটের আয়োনিক বন্ধন
মানবতাবাদ, মার্ক্সবাদ ও লেলিনবাদ করে শুধু ক্রন্দন।
দলে দলে প্রজাপতি
গুণে যায় নিজের স্থিতি।
মেঘমাল্লা আর মৌরিফুল লাল হলুদে হল ব্যাকুল
সুহেনা ও সাফিন টরেন্টোর রাস্তার মোড়ে গিয়ে দেশের জন্য হলো আকুল।
শেখ মোঃ নজরুল ইসলাম